dailybanglavoice.com
গত সপ্তাহে দেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, গত সোমবার বিকেল থেকে রাজধানীর অনেক থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুড়িয়ে দেয়া হয় থানা-পুলিশের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি। অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুট হয়। এরপর পুলিশি ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে। এরপর গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। যার প্রেক্ষিতে পুলিশের আইজিপি এবং আইএসপিআর এর নির্দেশে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পুনরায় সেবা কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ ও সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে।
অপরদিকে, শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। থানার সামনে ৫ সেনা সদস্য দায়িত্বপালন করছেন। ভেতরে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন মিয়া চেয়ারে বসে কাজ করছেন। অপরদিকে, তেজগাঁও থানার পুলিশ সদস্যরাও কাজে যোগ দিয়েছেন। শাহবাগ থানায় কাজ করছেন পুলিশ সদস্যরা। অনেকে এসেছিলেন সাদা পোশাকে।
এছাড়াও রমনা, কলাবাগান, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, কোতোয়ালি, চকবাজার, সূত্রাপুর, ডেমরা, গেন্ডারিয়া, মতিঝিল, সবুজবাগ, শাহজাহানপুর, শেরেবাংলা নগর, হাতিরঝিল, শাহ আলী, কাফরুল, ভাষানটেক, দারুসসালাম, রূপনগর, ক্যান্টনমেন্ট, বনানী, উত্তরা পশ্চিম, উত্তরখান ও বিমানবন্দর থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এখনো অনেক থানায় কাজ শুরু করতে পারেনি পুলিশ সদস্যরা।